আপনি কি ভাবছেন প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা আদৌ সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। হতে পারে আপনি একজন স্টুডেন্ট পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করতে চাচ্ছেন হাত খরচের জন্য, অথবা একজন গৃহিনী, অথবা একজন চাকরিজীবী যে চাকরির পাশাপাশি সাইড ইনকাম করতে চাচ্ছেন।
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে চাইলে তাও ঘরে বসে, আপনাকে সঠিক পথে এগোতে হবে। ধৈর্য এবং কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি আপনাকে আগে জানতে হবে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার উপায়গুলো সম্পর্কে। এতে আপনার পক্ষে বোঝা সহজ হবে কোন স্কিল তা আপনি কাজে লাগাতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেলে আমি অনলাইনে কি কি উপায়ে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
Table of Contents
- প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায়
- ১. ডোমেইন ট্রেডিং
- ২. ইমেইল মার্কেটিং
- ৩. অনলাইন গেমিং
- ৪. অনলাইন টিউটরিং
- ৫. ভিডিও ট্রান্সক্রাইব
- ৬. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- ৭. ব্লগিং
- ৮. প্রুফ রিডিং
- ৯. ইউটিউব
- ১০. ফ্রিল্যান্সিং
- ১১. ট্রান্সলেশন জব
- ১২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
- ১৩. টিকটক শর্ট ভিডিও তৈরি
- ১৪. অনলাইন সার্ভে
- ১৫. ফেসবুক
- ১৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ১৭. কনটেন্ট রাইটিং
- ১৮. এসইও এক্সপার্ট এর কাজ
- ১৯. অনলাইন ব্যবসা
- প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন
- প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে কি কি প্রয়োজন
- শেষ কথা
- FAQ
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায়
অনলাইনে অনেক কাজ করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে কিছু কাজ আছে, যেগুলো আপনি কয়েকদিন করার পর সেই কাজ থেকে আর তেমন ইনকাম করতে পারবেন না। আবার, অনেকেই অনলাইন থেকে আপনাকে ইনকাম করার সুযোগ দেয়ার নাম করে টাকা চেয়ে থাকে, আপনি যদি সেই ব্যক্তিকে টাকা দেন, তবে পুরো টাকা জলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়।
তাই, আপনাদের এমন কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি আজীবন প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় তো করতে পারবেনই , চাইলে এর চেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
আসুন দেখে নেই কি সেই উপায়গুলো যা আপনাকে ঘরে বসেই সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার সুযোগ করে দিতে পারে।
১. ডোমেইন ট্রেডিং
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা অনলাইনে উপার্জন করার অন্য একটি মাধ্যম হচ্ছে ডোমেইন ট্রেডিং করা। ডোমেইন ট্রেডিং হল, আপনি কোন একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম কিনে রাখলেন এবং তা পরবর্তীতে চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ মূল্যে বিক্রি করলেন। এর মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা বা তার বেশিও কামাই করতে পারবেন।
নিচে ডোমেইন ট্রেডিং করার কিছু ধাপ দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে আপনি ডোমেইন ট্রেডিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেনঃ
- মার্কেট রিসার্চ ও ডোমেইন নির্বাচন: জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি ডোমেইনের নাম যেমনঃ শর্ট এবং সহজে মনে রাখা যায় , ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়বে এবং কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ ডোমেইন খুঁজুন।
- ডোমেইন কেনা : নির্বাচিত ডোমেইন কিনার সময় বিভিন্ন রেজিস্টার থেকে তাদের মূল্য ও সেবা তুলনা করে যাচাই করুন যেন ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারেন।
- ডোমেইন পার্কিং: ক্রয় কৃত ডোমেইন টি একটি পার্কিং প্ল্যাটফর্মে পার্ক করুন। জনপ্রিয় পার্কিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে একটি পার্কিং প্ল্যাটফর্ম হল Sedo.com। ডোমেন পার্কিং হলো এমন একটা পদ্ধতি যেখানে আপনি একটা ডোমেইন এর নাম কিনে সেখানে রাখতে পারেন এবং সেটি একটি অস্থায়ী ওয়েব পেজে থাকে। যখন কেউ ডোমেইনটি কিনতে আগ্রহী হয় তখন সেখানে দেখানো হয় যে ডোমেইনটি ইতিমধ্যে কেনা হয়ে গেছে কিনা ।
- বিজ্ঞাপন প্রদর্শন: ডোমেইন বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত পার্ক করা ডোমেইনে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আপনি আয় করতে পারেন।
- মার্কেটিং: আপনি যে ডোমেইনটি কিনেছেন সে ডোমেইনটির জন্য মার্কেটিং করুন এবং যত বেশি সম্ভব ক্রেতাদের কাছে আপনি তার বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে চেষ্টা করুন।
- ডোমেইন বিক্রয়: কোনো ক্রেতা আগ্রহী হলে আপনার ডোমেনটি তার কাছে বিক্রয় করুন। আপনি একটি ভালো কিওয়ার্ডসমৃদ্ধ ও চাহিদা সম্মত ডোমেইন কিনে সেল করলে বড় অংকের টাকা লাভ করতে পারবেন।
২. ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা বা এর বেশিও ইনকাম করতে পারবেন। সবার আগে জেনে নেই ইমেইল মার্কেটিং ব্যাপারটা আসলে কি। ইমেইল মার্কেটিং হল একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে আপনি ইমেইল কে ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য বা আপনার সেবা প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন। ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করার জন্য নিচে এমন কিছু উপায় দেওয়া হল :
- এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক গ্রাহকদের কাছে পাঠাতে পারেন। যদি কোন গ্রাহক সেই লিংক থেকে কোন প্রোডাক্ট কিনে তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য কমিশন পাবেন।
- কনটেন্ট শেয়ারিংঃ আপনি আপনার ব্লগ পোস্ট বা ইউটিউব ভিডিও লিংক ইমেইল এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে শেয়ার করে ভিজিটর বা ভিউ বাড়াতে পারেন।
- ই-কমার্স প্রোডাক্ট প্রচারঃ আপনি চাইলেই আপনার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রোডাক্ট এর প্রচার করতে পারেন এবং সেগুলো বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
- ক্লিক এবং টাস্ক বেজ কাজঃ আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন টাস্ক বা ক্লিক বেইজ কাজ করে এ উপার্জন করতে পারেন।
- ইমেইল লিস্ট বিল্ডিংঃ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন: Youtube, Instagram, Facebook থেকে ইমেইল সংগ্রহ করেন এবং তার একটি লিস্ট তৈরি করেন।
৩. অনলাইন গেমিং
কি অবাক হচ্ছেন? আপনি ঠিকই শুনেছেন অনলাইন গেমিং করার মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা বা তার চেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো যা অনুসরণ করলে আপনি অনলাইন গেমিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেনঃ
- গেম স্ট্রিমিংঃ আপনি যদি একজন ভালো গেমার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার সেই গেমের ভিডিওটি বা স্ট্রিম লাইভ ইউটিউব বা টুইচ এর মত প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করার মাধ্যমে ভিউয়ারশীপ ও সাবস্ক্রিপশন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
- গেমিং টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণঃ নিয়মিত অনলাইনে বিভিন্ন গেমিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আপনি সেই সব প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন এবং সেখান থেকে জেতার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন।
- গেম রিভিউ বা টিউটোরিয়াল তৈরিঃ আপনি ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলে সেখানে গেম এর বিভিন্ন রিভিউ বা টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।
- গেম খেলে রিওয়ার্ড ইনকামঃ কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ রয়েছে যার মাধ্যমে গেম খেললে রিওয়ার্ড পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে টাকাতে রুপান্তর করা যায়।
- গেম ডেভেলপমেন্টঃ আপনি চাইলে নিজের গেম নিজেই তৈরি করে বা বিভিন্ন গেম ডেভেলপমেন্টে অংশগ্রহণ করে ইনকাম করতে পারেন। এবং আপনি এই গেম ডেভেলপমেন্ট বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতেও করতে পারেন।
৪. অনলাইন টিউটরিং
অনলাইন থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে একটি উপায় হচ্ছে অনলাইন টিউটরিং করার মাধ্যমে উপার্জন করা। আপনার মধ্যে যদি কোনো বিষয়ে দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে অনলাইনে সে সকল দক্ষতার কাজ শিখিয়ে প্রতি সপ্তাহে আয় করতে পারবেন।
অনলাইন টিউটরিং এর মাধ্যমে উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ
- কোর্স তৈরিঃ এখন আপনার দক্ষতা অনুযায়ী যে কোন কোর্স অর্থাৎ আপনি যে কোন বিষয়ে দক্ষ যদি হয়ে থাকেন সে বিষয়ে যদি মানুষকে জানাতে বা পড়াতে আপনার ভালো লেগে থাকে সেই বিষয়ে একটি ভালো মানের ভিডিও এবং পাঠ্য সামগ্রী তৈরি করুন।
- প্ল্যাটফর্ম নির্বাচনঃ এরপর আপনাকে একটি উপযুক্ত অনলাইন টিউটরিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে আপনার কোর্সটি সেল করার জন্য। যেমন Udemy, Skill Share বা Coursera ইত্যাদি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুন।
- মূল্য নির্ধারণঃ কোর্সের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক স্ট্রেটেজি। আপনাকে আপনার কোর্সের জন্য একটি উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। প্রথমত আপনি কম মূল্যে অফার দিয়ে কোর্সটি ছাত্রদের আকৃষ্ট করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন যে বিক্রির জন্য এতো কম রাখবেন না যাতে ছাত্ররা এটার ম্যান নিয়ে সন্দিহান হয়।
- প্রোমোট : এই পর্যায়ে আপনাকে আপনার পোস্টটি প্রোমোট করা লাগবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমনঃ Facebook, Youtube . এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন ফোরামে আপনার কোর্সটি প্রচার করুন।
- ফিড ব্যাক: আপনি আপনার ছাত্রদের কাছ থেকে কোর্সের ফিডব্যাক গ্রহণ করুন এবং তাদের রিভিউ পাবলিশ করুন। এতে নতুন ছাত্ররা আপনার কোর্সটির ম্যান সম্পর্কে বিশ্বাস করবে এবং কিনার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে।
- ওয়েবিনার : এছাড়াও আপনি আপনার কোর্সে আরো বেশি ছাত্র নিয়োগ করার জন্য মাঝে মাঝে গ্রুপ ক্লাস বা ওয়েবিনার আয়োজন করতে পারেন।
৫. ভিডিও ট্রান্সক্রাইব
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আপনি এই পথে খুব সহজেই আয় শুরু করতে পারবেন। ভিডিও ট্রান্সক্রাইবিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি কোন ভিডিওর অডিও অংশকে লিখিত পৃষ্ঠে রূপান্তরিত করেন। ট্রান্সক্রাইবিং করা হয় যাতে ভিডিওর বক্তব্য গুলো পড়া যায়। যা বিভিন্ন শ্রোতাদের জন্য বোঝা অনেক সহজ করে তোলে।
ট্রান্সক্রাইবিং অনেক কারণে প্রয়োজন:
- Accessibility: শ্রবণ প্রতিবন্ধী বা যারা অন্য ভাষাভাষী শ্রোতা রয়েছে তাদের জন্য ভিডিও কনটেন্ট আরো সহজ করে তোলে বুঝার জন্য।
- SEO: ট্রান্সক্রিপ্ট ভিডিও কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনে যদি আরও ভালোভাবে রেংক করাতে চান তাহলে ট্রানস্ক্রাইবিং তা সহজ করে তোলে।
- শিক্ষা ও গবেষণা: গবেষণার কাজে নিয়োজিত গবেষক ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ট্রান্সলেট থেকে অনেক তথ্য সহজে পেতে পারেন ও উপকৃত হতে পারেন।
- বহুভাষিক সাপোর্ট: ট্রান্সলেটকে অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষাভাষী দর্শকদের জন্য ভিডিও বোঝা আরো সহজ হয়ে যায়।
নিচে ভিডিও ট্রান্সক্রাইব করার কিছু ধাপ দেয়া হলো যেগুলো অনুসরণ করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম শুরু করতে পারবেন:
- ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধনঃ আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি অথবা সবগুলোতেই যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer.com এ রেজিস্ট্রেশন করুন।
- প্রফেশনাল পোর্টফোলিও তৈরিঃ বায়ারকে যদি দেখাতে চান আপনি কেমন ভাবে কাজটি সম্পন্ন করেন তাহলে আপনি আপনার প্রোফাইলে প্রফেশনাল পোর্টফোলিও তৈরি করে রাখতে পারেন। পোর্টফোলিও হলো আপনার আগের কাজের নমুনা।
- মানসম্মত কাজ প্রদানঃ এখন আপনার প্রোফাইলের রিভিউ বাড়ানোর জন্য মানসম্মত এবং সময়মতো কাজ করে সাবমিট করুন।
- মার্কেটিং করুনঃ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগ পোস্ট বা অনলাইন ফোরামে এই সার্ভিসটি প্রচার করতে পারেন।
- গ্রাহক সেবা উন্নত করুনঃ সর্বোপরি আপনার কাজ হল ক্লায়েন্টের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং তাদের ফিডব্যাক অনুযায়ী আপনার সেবাকে আরো উন্নত করা।
আরো পড়ুন : Shutterstock থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করার উপায়
৬. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 পর্যন্ত এমনকি তার চেয়েও বেশি উপার্জন করতে পারবেন।
প্রথমত, আমরা জেনে নিই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কি? ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হচ্ছে একটি অনলাইন ভিত্তিক সেবা যেখানে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে বিভিন্ন কোম্পানিকে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবেন ।
আপনি আপনার নিজের ঘরে বসে পুরো বিশ্বে আপনি এ সার্ভিসটি দিতে পারবেন এটি হচ্ছে ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট এর কাজ।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ইমেইল ব্যবস্থাপনা, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, গ্রাহক সেবা এবং অন্যান্য অফিস সাপোর্ট করে এমন কাজ।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে গেলে আপনার তেমন কোন ডিগ্রী বা সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই। এই কাজটি সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে করা হয়।
নিচের দক্ষতাগুলো আপনার মধ্যে থাকলে কাজ পেতে সহজ হবে যা আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে:
- কমিউনিকেশন স্কিল: আপনার ভালো লিখিত এবং মৌখিক ভিত্তিক কমিউনিকেশন করা দক্ষতা থাকতে হবে। এটা খুবই জরুরি।
- সময় ব্যবস্থাপনা: কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
- মাইক্রোসফট অফিস এবং এক্সেল: আপনাকে অন্তত কম্পিউটার মাইক্রোসফটের অফিস এবং এক্সেল এর কাজ ভালোভাবে পারতে হবে।
- ওয়েব রিসার্চ: ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে গেলে আপনাকে ইন্টারনেটে ভালো তথ্য খুঁজে বের করার দক্ষতা থাকতে হবে।
৭. ব্লগিং
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করার আরেকটি মাধ্যম হলো ব্লগিং করা। আপনি যদি ধৈর্য ধরে নিয়মিত কাজ করতে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্লগিং থেকে আপনি ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন।
নিচে ব্লগিংয়ের ধাপগুলো দেয়া হলো , এগুলো ভালোভাবে ফলো করতে পারলে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন শুরু করতে পারবেনঃ
- নিজের ব্লগ তৈরি করুন: প্রথমত আপনাকে একটি নিজস্ব ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত সেই ওয়েবসাইটে এমন কিছু কনটেন্ট প্রকাশ করতে হবে যা মানুষ বেশি গুগলে সার্চ করে।
- ট্রাফিক বানান: আপনার ওয়েবসাইটে বেশি পরিমাণে ভিজিটর আনার জন্য SEO করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেন।
- গুগল এডসেন্স: এ পর্যায়ে আপনার ব্লগে আপনি গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন যুক্ত করুন এবং সেই অ্যাডগুলো কোন ভিজিটর যদি দেখে তাহলে তার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
- এফিলিয়েট মার্কেটিং: এমনকি আপনি আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে আপনার ব্লগের বিষয়বস্তুর সাথে খাপ খায় এমন পণ্য বা সেবার প্রচার করতে পারেন এবং বিক্রির উপর কমিশন নিতে পারেন।
৮. প্রুফ রিডিং
প্রুফ রিডিং কি সেটা আগে জেনে নেই ? প্রুফ রিডিং হলো যে কোন একটি বই বা কপির মুদ্রণের আগে তার ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়াকে প্রুফ রিডিং বলে।
আপনি প্রুফ রিডিং কাজ করার মাধ্যমেও প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা এমনকি তারচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারেন। নিচে এমন কিছু ধাপ দেওয়া হল যা অনুসরণ করলে আপনি প্রুফ রিডিং করে উপার্জন করতে পারেনঃ
- দক্ষতা অর্জনঃ প্রথমত আপনাকে যে ভাষার উপর কাজ করতে চান সেই ভাষার ব্যাকরণ সম্পর্কে ও গঠন সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী।
- পোর্টফলিও তৈরিঃ আপনার কাজের নমুনা দেওয়ার জন্য একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন। যা দেখে ক্লায়েন্টরা আপনার দক্ষতা বুঝতে পারবে।
- নেটওয়ার্কিংঃ আপনাকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, পেশাদার গ্রুপ এবং অনলাইন ফোরামে নেটওয়ার্কিং করতে হবে। যাতে আপনি বেশি ক্লায়েন্ট ও প্রকল্প পেতে পারেন।
- গ্রাহক সেবাঃ আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টদের সন্তুষ্ট রাখতে হবে এবং তাদের চাহিদা মোতাবেক কাজ সাবমিট করতে হবে। কেননা যেসব ক্লায়েন্ট আপনার কাজে সন্তুষ্ট হবে তারা পুনরায় আপনাকে আবার কাজ দেওয়ার আগ্রহ পাবে এবং অন্যান্য সম্ভাব্য ক্লাইন্টের কাছে আপনাকে সুপারিশ করতে পারে। এতেও নেটওয়ার্কিং বাড়ে।
- সময় ব্যবস্থাপনাঃ আপনাকে আপনার কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করতে হবে এবং সময়মতো কাজ সাবমিট করতে হবে।
এছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।
৯. ইউটিউব
বর্তমানে অনেকেই ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে। আপনি ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও যেমন-ব্লগিং ভিডিও, ফানি ভিডিও, এন্টারটেইনমেন্ট ভিডিও, গেমিং ভিডিও, কার্টুন ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও ইত্যাদি ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করে অর্থাৎ গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ে youtube থেকে উপার্জন করতে পারেন। তবে ইউটিউব প্রতি সপ্তাহে না বরং মাসে একবার পেমেন্ট দিয়ে থাকে।
তবে সাপ্তাহিক পেমেন্টের জন্য অন্য উপায় রয়েছে। ইউটিউব এর মাধ্যমে এফিলেট মার্কেটিং করে আপনি প্রতি সপ্তাহে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
YouTube থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য প্রথমে আপনাকে ইউটিউবে নিজের চ্যানেল তৈরি করতে হবে। চ্যানেল বানানোর পর আপনি নিম্নলিখিত উপায়ে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে সবার আগে আপনার চ্যানেল মনিটাইজ হতে হবে।
- বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে: ইউটিউব চ্যানেলে আপনার ভিডিওর শুরু হওয়ার আগে, পরে এবং মাঝে দেখানো বিজ্ঞাপনগুলির মাধ্যমে যে আয় হয় তার একটা অংশ আপনি পাবেন।
- চ্যানেল মেম্বারশিপ: টাকা খরচ করে আপনার চ্যানেলের মেম্বারশিপ নিলে সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
- মার্চ শেলফ : আপনার ফ্যানরা যদি আপনার ভিডিওতে দেখানো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট গুলি কিনে তাহলে আপনি টাকা পাবেন।
- সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার: আপনার ভিডিও দেখার সময় দর্শকরা মজাদার অ্যানিমেশন কিনতে পারবেন। এছাড়াও তারা কমেন্ট সেকশনে নিজেদের কাস্টমাইজড কমেন্ট পোস্ট করতে পারবে। এর মাধ্যমেও আজকাল আয় করা যাচ্ছে।
- ইউটিউব প্রিমিয়াম: যখন YouTube Premium মেম্বাররা আপনার ভিডিও দেখবে তখন সাবস্ক্রিপশনের কিছুটা অংশ আপনি পাবেন।
১০. ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোন না কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হন যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি বিষয় যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে খুব সহজে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা অনেক বেশি আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার দক্ষতা বা আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। বাসায় বসেই আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। এর জন্য যা যা প্রয়োজন
- একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটার
- ভালো স্পীডের ইন্টারনেট সংযোগ
- কাজ করার ইচ্ছে ও চেষ্টা
- কাজের দক্ষতা
- সময় ব্যবস্থাপনা
১১. ট্রান্সলেশন জব
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার জন্য ট্রান্সলেশন জব একটা অন্যতম মাধ্যম। আপনি অনলাইনে জনপ্রিয় ফ্রিল্যানসার মার্কেটপ্লেস এবং প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে এই ট্রান্সলেশন জবের জন্য আবেদন করে রাখতে পারেন।
এছাড়াও আপনি bdjobs.com এবং Linkdin এ নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞাপন দেখতে পারেন সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমত চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন।
অনেক সময় ট্রান্সলেশন এজেন্সি গুলো নতুন ট্রান্সলেটরদের অনেক কাজের সুযোগ দেয়। এখন আপনি যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন যেমনঃ মেডিকেল বা লিগেল ট্রান্সলেশন তাহলে সেই ধরনের কাজের জন্য আলাদা চাহিদা থাকে।
ট্রান্সলেশন জব এর জন্য কোয়ালিফাই হতে হলে সর্ব প্রথম আপনাকে অন্তত দুটি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে তার মধ্যে একটি আপনার মাতৃভাষা হবে এবং অন্যটি হবে যে ভাষাতে ট্রান্সলেটর হিসেবে জব করতে চান। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ট্রান্সলেটর প্রোগ্রাম বা কোর্সে জয়েন হতে পারেন।
এই জব শুরু করার পূর্বে আপনি সেখান থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন যাতে আপনি একজন দক্ষ ট্রান্সলেটর হয়ে ওঠেন এবং অনেক সময় আপনাকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় যা আপনার জবের ক্ষেত্রে কাজে লাগে।
১২. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট কি সেটা আগে জেনে নেই।সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হলো আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোডাক্ট বা সকল সার্ভিসের দেখাশোনা করার কাজ।
এটি এমন একটি প্রসেস যার মাধ্যমে আপনার নিজের বা আপনার ক্লায়েন্টের অনলাইন প্রেজেন্স বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এর উপর যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি তে আপনার পণ্য বা সেবার নানা ধরনের পোস্ট ক্রিয়েট, সেগুলো পাবলিশ এবং এনালাইসিস করার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
অনলাইন প্রেজেন্স বলতে, আপনার বা আপনার আপনার ব্যবসার অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে উপস্থিতি বুঝায়।
এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া প্রেজেন্সের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্রান্ডের গল্প বলতে পারবেন এবং গ্রাহকদের সাথে ইন্টারেকশন এর মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার বিক্রি বাড়াতে পারবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট একটি মার্কেটিং বিভাগের বিশেষায়িত পদ। যেখানে আপনি বিজনেসের প্রচারণা তদারকি করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা কোনো ব্যাপারই না।
১৩. টিকটক শর্ট ভিডিও তৈরি
টিকটক এখন খুবই জনপ্রিয় এবং বহু ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। এখনকার সময়ে অনেকে টিকটক শর্ট ভিডিও তৈরি করে অনলাইন থেকে আয় করছে।
আপনার মধ্যে যদি এমন কোন দক্ষতা থেকে থাকে ভিডিও তৈরি বিষয়ে তাহলে ভিডিও তৈরি করে টিকটক প্লাটফর্মে আপলোড করে আয় করতে পারেন।
তবে টিকটক প্লাটফর্ম থেকে আয় করার জন্য অনেক ধৈর্য ধারণ করতে হবে। অনেকেই এই টিকটক থেকে বিভিন্ন উপায়ে ভিডিও তৈরি করে আয় করছে।
আপনি যদি সবসময় ট্রেন্ডিং টপিকের উপর ভিডিও বানান তাহলে খুব তাড়াতাড়িই টিকটক থেকে আয় শুরু করে দিতে পারবেন। এছাড়া tiktok এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি সপ্তাহে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
১৪. অনলাইন সার্ভে
বর্তমানে অনলাইনে কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো অনলাইন সার্ভে করলে টাকা দিয়ে থাকে। আপনি এ সকল অ্যাপ কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন সার্ভে করে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন খুব সহজেই।
অনলাইন সার্ভে করে টাকা দিয়ে থাকে সে সকল অনলাইন সার্ভে অ্যাপ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- SurveyPlanet, SurveyMonkey, SurveySparrow, SurveyBot, Responsly, QuestionPro, Jotfrom ইত্যাদি।
এই অ্যাপগুলো অনলাইনে সার্ভে করার মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে থাকে। তবে যে কোনো অ্যাপ এ কাজ শুরু করার আগে প্রথমে গুগলে অ্যাপ সম্পর্কে অ্যাপগুলোর রিভিউ দেখে কাজ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
১৫. ফেসবুক
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার জন্য ফেসবুক অন্যতম একটি উপায়। বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হল ফেসবুক আর এই ফেসবুকে কাজ করে মোটা অংকের টাকা আয় করছে।
আপনিও এই ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। ফেসবুকে যে সকল কাজের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন তা হল ভিডিও তৈরি করে ইনস্ট্রিম অ্যাডের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে সেখান থেকেও আয় করতে পারেন। ফেসবুকে পেজ ওপেন করে সেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করে সেখান থেকেও আয় করতে পারেন।
এছাড়াও ফেসবুকের মাধ্যমে এফিলেট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন। তাছাড়া অনেকে ফেসবুক রিলস ভিডিও তৈরি করেও ভালো ইনকাম করছেন।
১৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং
বিশ্বের প্রায় সব কনটেন্ট ক্রিয়েটর এ্যাফিলেট মার্কেটিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। আপনিও যদি তাদের মতো ইনকাম করতে চান তাহলে যে কোন কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দান করে কোম্পানি নির্দিষ্ট কমিশন পেতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে প্রথমেই কোন একটি ভাল কোম্পানি পছন্দ করতে হবে অথবা আপনি অ্যামাজনের মত কোম্পানি পছন্দ করে অ্যামাজনের প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় খুবই সামান্য। যদি এর পিছনে ধৈর্য এবং শ্রম দিতে পারেন হাজার ডলার ইনকাম করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
১৭. কনটেন্ট রাইটিং
আপনার মধ্যে যদি লেখালেখির পারদর্শিতা থেকে থাকে তাহলে আপনি আর্টিকেল লিখে প্রতি সপ্তাহে আয় করতে পারেন। আপনি বাংলা ইংরেজি উভয় ক্ষেত্রে আর্টিকেল লিখে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করতে পারেন যেমন – fiverr, upwork ইত্যাদি ।
আবার অনেক আইটি সেন্টার রয়েছে যেগুলো আর্টিকেল লিখে নেওয়ার জন্য নিয়োগ দেয়।এছাড়া facebook বোরো পেজ গুলো তে পোস্ট লিখে আপনি আয় করতে পারেন।
১৮. এসইও এক্সপার্ট এর কাজ
আপনার যদি এসইও সম্পর্কে খুব ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে এসইও এক্সপার্ট হয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা উপার্জন শুরু করতে পারবেন।
আর যদি এসইও এক্সপার্ট হিসেবে তেমন দক্ষতা না থাকে তাহলে আগে ভালো কোনো ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট থেকে এসইও এক্সপার্ট এর কাজ শিখে কাজ শুরু করে দিন।
১৯. অনলাইন ব্যবসা
বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইন ব্যবসা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর কারণ সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
আপনিও অনলাইন প্লাটফর্ম সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ব্যবসা করে আয় শুরু করতে পারেন যদিও এতে আপনার প্রাথমিকভাবে কিছু ইনভেস্টমেন্ট লাগবে।
অথবা bikroy.com এই সকল সাইডে পুরাতন পণ্য কিনে যেমন বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, মোবাইল, টিভি, ফ্যান ইত্যাদি পণ্য কিনে bikroy.com সেল করতে পারেন।
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার জন্য আপনার যেসব জিনিসের প্রয়োজন হতে পারে শেষ সেই সব জিনিস গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা খুবই সহজ।
যদি আপনার কয়েকটি যোগ্যতা থাকে এবং আপনার যদি কিছু ব্যথা থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার জন্য কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন তার সমস্ত নিচে তুলে ধরা হলো।
- ইংরেজি ও বাংলা পড়া এবং বোঝার ক্ষমতা
- অনলাইন বিষয়ক হালকা কিছু জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা
- কম্পিউটার বেসিক সম্পর্কে ধারণা
এই তিনটি যোগ্যতা যদি আপনার থাকে, তাহলে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা আপনার জন্য কোনো ব্যাপারই না। আপনি যদি উপরোক্ত এই কয়েকটি বিষয়ে অভিজ্ঞ না হয়ে থাকেন তাহলে এই বিষয়ে প্রথমে দক্ষতা অর্জন করুন।
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে কি কি প্রয়োজন
আপনি যদি ঘরে বসে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অনলাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
অনলাইনে ঘরে বসে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় তার বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার যে জিনিস গুলো অবশ্যই থাকতে হবে সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
- একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার ল্যাপটপ ইত্যাদি।
- নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ বা ব্যান্ডউইথ।
- নিরিবিলি কাজ করার জন্য পরিবেশ।
- যে কাজ করবেন সে কাজের উপরে দক্ষতা।
শেষ কথা
বন্ধুরা আজকে আমরা প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার ১৯ টি কার্যকরী উপায় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম। তবে আপনার সাফল্য নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং আপনি কতটা ধৈর্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক তার উপর।
আশা করি উপরে দেওয়া তথ্য গুলো আপনার অনলাইন ইনকাম করার বিষয়ে সাহায্য করবে। আজকের লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
আর অনলাইন থেকে আয় করার জন্য অন্য কোন বিষয়ে জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন আমাদেরকে।
FAQ
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা কি সম্ভব ?
হ্যাঁ , নিশ্চয়ই সম্ভব যদি আপনি ধৈর্য সহকারে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সঠিক নিয়মে কাজ করতে পারেন।
আমি কীভাবে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারি?
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে আপনি আপনার লক্ষ্য স্পষ্ট করতে পারেন এবং সঠিক দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
৪. কীভাবে আমি নিজের আয় বাড়াতে পারি?
নিজের আয় বাড়ানোর জন্য আপনি নিজের দক্ষতা এবং নেটওয়ার্কিং বাড়াতে হবে।
৫. নিজের আয় বাড়ানোর জন্য কি কি দক্ষতা প্রয়োজন?
নিজের আয় বাড়ানোর জন্য আপনি যে কোনও বিষয়ে দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইনে আয় করার জন্য আপনার কম্পিউটার বেসিক সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এছাড়া ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় দক্ষ থাকতে হবে।